সংস্থার বিস্তারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

(ক) বর্জ্রপাত সচেতনতা কার্যক্রম:

বর্জ্রপাত সচেতনতায় গ্রামে গঞ্জে গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিলি, পথসভা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা তৈরী, স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সচেতনা তৈরীতে কর্মশালা, আলোচনা ও ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শণের মাধ্যমে সচেতন করবে। বন্যা, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোগের আগে ও পরে গ্রামে গ্রামে প্রচারণা, দুর্যোগের পরে উদ্ধার কার্যক্রম ও বিভিন্ন ধরণের ভলেন্টিয়ারি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

(খ) সাইবার ক্রাইম :

বেড়েই চলছে সাইবার ক্রাইম। কিন্তু কোথায় যেতে হবে এর প্রতিকারে। তা অনেকেরই অজানা। এই সুযোগে অসৎ প্রকৃতির লোকজন সহজ সরল মানুষকে সহজেই বিপদে ফেলে দেয়। বিপদ্রগ্রস্ত লোকজনকে সচেতন করে সমাজে শান্তি বিরাজ রাখতে কাজ করবে।

(গ) ফ্লাশ ফ্লাড (অকাল বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি):

এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যত ধান উৎপাদন করা হয় এর ১৮ ভাগ আসে হাওরাঞ্চল থেকে। কিন্তু প্রায়ই অশাল বন্যায় ভেসে যায় ফসল। ক্ষতির সম্মুখীন হয় কৃষক। ঘাটতি পড়ে দেশের চাহিদায়। কিন্তু কৃষককে একটু সচেতন করা গেলে অশাল বন্যা থেকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সম্ভব। সেভ দ্য সোসাইটি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও গবেষকদের সহায়তা কৃষকদের সচেতনতায় কাজ করবে।

(ঘ) ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ কার্যক্রম:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। ২০২৩ সালে মোট মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের, আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজারের বেশি। ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, আক্রান্ত-মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকাশ করে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে সহযোগিতা করা।

(ঙ) মাদকমুক্ত সমাজ :

মাদকাসক্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করলেই চলবে না, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষসহ যুব সম্প্রদায় কেন এ মরণ নেশায় আসক্ত হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, বখে যাওয়া ছেলে-মেয়ে, ভাসমান জনগোষ্ঠী, পথশিশু, যাযাবর, যৌনকর্মী, হিজড়া, চা শ্রমিকরা মাদকাসক্ত হয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন কথা বলে। যারা ইতোমধ্যে মাদকসক্ত হয়ে গেছে তাদেরকে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আলোর পথে ফিরিয়ে আনা। অপরদিকে যারা এখনো মাদকের পথে পা বাড়ায়নি তাদেরকে এ পথের কুফল তুলে ধরে যুব সমাজকে সুনাগরিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করবে। এয়াড়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের নানা কর্মসূচতে সহায়তা প্রদান করবে।

(চ) শিশু ও যুব কল্যাণ:

আজকের শিশু আগামি দিনের ভবিষ্যত। সব শিশুকে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশের অবহেলিত গরিব ছিন্নমূল টোকাই শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিবেশগত মান উন্নয়ন করা। যুবকদের কল্যাণে মৎস্য ও পশু সম্পদ বিভাগের অনুমোদনক্রমে সরকারি/বেসরকারি হাওড়-বাঁওড়, মজাপুকুর, ডোবা-নালা ইত্যাদি ইজারা গ্রহণপূর্বক মৎস্য চাষের মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা এবং সমাজের শিক্ষিত বেকার যুবকদের মৎস্য চাষে উদ্বুুদ্ধকরণে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। কৃষি ক্ষেত্রে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণ, উৎসাহ প্রদান এবং এর মাধ্যমে উন্নত পদ্ধতিতে ফলন বৃদ্ধি করতে কৃষকদের শিক্ষার মাধ্যমে যুগোপযোগী কৃষক হিসেবে গড়ে তোলা এবং প্রয়োজনে কৃষি উপকরণ বীজ, সার, ওষুধ ইত্যাদি সহজে এবং সুলভমুল্যে প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং ছোট বড় হিমাগার প্রতিষ্ঠা করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণে সহযোগিতা করা এবং প্রদর্শনী খামার তৈরি করা।

(ছ) জলবায়ু:

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমাজে জ্ঞান ও সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। সেজন্য দেশজুড়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্যাম্পেইন করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে নির্মল পরিবেশের লক্ষ্যে বনায়ন ও পরিবেশ-দূষণমুক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে সচেতনা বৃদ্ধি।

(জ) আইন সহায়তা প্রদান:

সুনাগরিক হওয়ার জন্য আইন মানা যেমন গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি আইন জানাও গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যে দেশের আইনসমূই জানাতে ক্যাম্পিং করা। দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের আইনি সেবা নিশ্চিতের জন্য সার্বিক সহায়তা প্রদান করা। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের আইনী সহায়তা প্রদান করা।

(ঝ) কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পূনর্বাসন :

কারামুক্তদের কল্যাণে স্বাভাবিক জীবন যাপনে সহায়তা প্রদান। যাতে তারা আর পূবের অন্যায় কাজে জড়িয়ে না পরে। (ঞ) সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার সঙ্গে সৌহার্দমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা: কার্যক্রমের সুবিধার্থে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা। সরকারি ও বেসরকারি সকল সংস্থার সঙ্গে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সম্পর্ক স্থাপন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ।

(ট) নারী কল্যাণ কর্মসূচি:

মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে নারীসমাজকে পরনির্ভরশীলতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করে সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ভূমিকা জোরদার করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা। বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

(ঠ) শারীরিকও মানসিক প্রতিবন্ধিদের কল্যান:

প্রতিবন্ধিরা সমাজের বোঝা নয়। তাদেরকে দেশের সম্পদে পরিণত করতে প্রতিবন্ধি স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ সব ধরনৈর প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সম্পদে পরিণত করা।

(ড) কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ:

কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের জন্য মুটিভেশন প্রদান করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলতে সহায়তা।

(ঢ) পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা:

প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী বলেছেন,লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা স্কুল কলেজের চেয়ে বেশি। এই কথাকে সামনে রেখে সেভ দ্য সোসাইটি প্রতিটি জেলা- উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড-গ্রামে যেখানে কোনো পাবিলিক লাইব্রেরী নেই সেখানে একটি করে লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা।


২৩/১, ২য় তলা, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা:১০০০। মোবাইল: ০১৯১২৬৫৪০৫২

© All rights reserve

Site Design: